নদীতে জল কমে গেলে, নদী-ঢালের মাত্রা হ্রাস পেলে, নদীর শক্তির তুলনায় অধিক পরিমাণে প্রস্তরখন্ড নদীতে এসে পড়লে নদীর বহন ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস পায় । এইরূপ অবস্থায় নদীর তলদেশে কিছু কিছু প্রস্তরখন্ড জমা হতে থাকে । বৃহদাকার প্রস্তরখন্ডগুলি নদীর উচ্চ প্রবাহে ও ক্ষুদ্রাকার প্রস্তরখন্ড, বালুকা, কর্দম প্রভৃতি নদীর নিম্নপ্রবাহে অর্থাৎ, মোহনার নিকট জমা হয় । একেই নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্য (Deposition
of river) বলে ।
Read More: Job Web Site BanglaCareer
বৈশিষ্ট্য: নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্য – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্যের মাত্রা নির্ভর করে নদীর গতিবেগ, জলের পরিমাণ, নদীতে বোঝার পরিমাণ প্রভৃতির উপর ।
খ) নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্য প্রকারান্তরে নদীর অপর দুইটি কার্য যথা – ক্ষয়কার্য ও বহন কার্যের উপর নির্ভরশীল ।
গ) এর ফলে সংশ্লিষ্ট অবনত অঞ্চলের উচ্চতা সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে ।
ঘ) উৎস থেকে মোহনা অবধি নদী ঢালের বৈষম্যতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে ।
ক) নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্যের মাত্রা নির্ভর করে নদীর গতিবেগ, জলের পরিমাণ, নদীতে বোঝার পরিমাণ প্রভৃতির উপর ।
খ) নদীর অবক্ষেপণ কার্য বা সঞ্চয় কার্য প্রকারান্তরে নদীর অপর দুইটি কার্য যথা – ক্ষয়কার্য ও বহন কার্যের উপর নির্ভরশীল ।
গ) এর ফলে সংশ্লিষ্ট অবনত অঞ্চলের উচ্চতা সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে ।
ঘ) উৎস থেকে মোহনা অবধি নদী ঢালের বৈষম্যতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে ।
নিম্নগতি :
নদীর নিম্নগতিতে যে যে ভূমিরূপ গুলি করে ওঠে তা হল
প্লাবন ভূমি [Flood Plain] নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, প্লাবন ভূমি [Flood Plain] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ ।
১) নদীর মধ্য ও নিম্ন গতিতে সমভূমি অঞ্চলে নদীর ঢাল ক্রমশ কমতে থাকায় নদীর সঞ্চয় কাজ ক্রমেই বাড়তে থাকে । নদী বাহিত নুড়ি, কাদা, পলি প্রভৃতি জমে নদীগর্ভ ভরাট ও অগভীর হয়ে যায় ।
২) বর্ষাকালে নদীর প্রবাহপথের এই অংশে নদীর জল হঠাৎ বেড়ে গেলে নদী উপত্যকায় প্লাবন বা বন্যা হয় ।
৩) প্লাবনের পর নদীর জল নেমে গেলেও নদীর উঁচু পাড় স্বাভাভিক বাঁধের মতো অবস্থান করায় নীচু সমতলভূমির জল বেরোতে পারে না, ফলে তারা প্লাবিত হয়েই থাকে ।
৪) নদীর প্লাবনের জলে থাকা পলি নদী উপত্যকার নিম্ন অংশে থিতিয়ে পড়ে ও সঞ্চিত হয় । প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলে নতুন পলি সঞ্চয় ঘটে ।
৫) এইভাবে নদী উপত্যকার নিম্ন অংশে পলি সঞ্চয়ের ফলে যে ভুমিরুপের সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবনভূমি বলে ।
৬) নদীবাহিত পলি অনেকদিন ধরে নদীর দু’পাশে সঞ্চিত হলে পলিগঠিত যে সমতল ভূ-ভাগের সৃষ্টি হয় তাকে পলি সমভূমি বলে।
উদাহরণ: উত্তর প্রদেশের হরিদ্বার থেকে বিহারের রাজমহল পর্যন্ত নানান স্থানে গঙ্গার গতিপথের দু'পাশে প্লাবনভূমি ও স্বাবাভিক বাঁধ দেখা যায় । মিশরের নীল নদের গতিপথে প্রথমে প্রথমে স্বাভাবিক বাঁধ এবং পরে বিস্তৃত প্লাবনভূমি দেখা যায় ।
নদীর নিম্নগতিতে যে যে ভূমিরূপ গুলি করে ওঠে তা হল
প্লাবন ভূমি [Flood Plain] নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, প্লাবন ভূমি [Flood Plain] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ ।
১) নদীর মধ্য ও নিম্ন গতিতে সমভূমি অঞ্চলে নদীর ঢাল ক্রমশ কমতে থাকায় নদীর সঞ্চয় কাজ ক্রমেই বাড়তে থাকে । নদী বাহিত নুড়ি, কাদা, পলি প্রভৃতি জমে নদীগর্ভ ভরাট ও অগভীর হয়ে যায় ।
২) বর্ষাকালে নদীর প্রবাহপথের এই অংশে নদীর জল হঠাৎ বেড়ে গেলে নদী উপত্যকায় প্লাবন বা বন্যা হয় ।
৩) প্লাবনের পর নদীর জল নেমে গেলেও নদীর উঁচু পাড় স্বাভাভিক বাঁধের মতো অবস্থান করায় নীচু সমতলভূমির জল বেরোতে পারে না, ফলে তারা প্লাবিত হয়েই থাকে ।
৪) নদীর প্লাবনের জলে থাকা পলি নদী উপত্যকার নিম্ন অংশে থিতিয়ে পড়ে ও সঞ্চিত হয় । প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলে নতুন পলি সঞ্চয় ঘটে ।
৫) এইভাবে নদী উপত্যকার নিম্ন অংশে পলি সঞ্চয়ের ফলে যে ভুমিরুপের সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবনভূমি বলে ।
৬) নদীবাহিত পলি অনেকদিন ধরে নদীর দু’পাশে সঞ্চিত হলে পলিগঠিত যে সমতল ভূ-ভাগের সৃষ্টি হয় তাকে পলি সমভূমি বলে।
উদাহরণ: উত্তর প্রদেশের হরিদ্বার থেকে বিহারের রাজমহল পর্যন্ত নানান স্থানে গঙ্গার গতিপথের দু'পাশে প্লাবনভূমি ও স্বাবাভিক বাঁধ দেখা যায় । মিশরের নীল নদের গতিপথে প্রথমে প্রথমে স্বাভাবিক বাঁধ এবং পরে বিস্তৃত প্লাবনভূমি দেখা যায় ।
Read More: Job Web Site BanglaCareer
ব-দ্বীপ [Delta]:
নদীর সঞ্চয়কাজের ফলে যে সমস্ত রকম ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, ব-দ্বীপ [Delta] হল তাদের মধ্যে অন্যতম একটি ভূমিরূপ । নদী যেখানে সমুদ্রে এসে পড়ে তাকে নদীর মোহনা বলে । ব-দ্বীপ হল নদীর মোহনায় মাত্রাহীন বাংলা ব -অক্ষরের এর মত ত্রিকোণাকার এক রকম দ্বীপ [∆] । মোহনার কাছে নিম্ন গতিতে নদীর গতিপথের ঢাল একেবারে কমে যাওয়ায় নদীতে জলপ্রবাহের গতিবেগ খুব একটা থাকে না । মোহনার কাছে সাগরের জলে স্রোত কম থাকলে নদীগর্ভ, হ্রদ বা সাগরসঙ্গম নদীবাহিত পলি ( নুড়ি, কাঁকর, কাদা, বালি) জমে উঁচু হয়ে যাওয়ায় নতুন ত্রিকোণাকার ভূভাগ বা দ্বীপের সৃষ্টি হয় । দ্বীপের চারদিকে থাকে জল। নদী তখন সেই দ্বীপের দু-দিক দিয়ে বয়ে চলে । দ্বীপকে দেখতে গ্রিক অক্ষর ডেল্টা [∆] -এর মতো হলেও বাংলা অক্ষর মাত্রাহীন ব-এর সঙ্গে তার কিছুটা সাদৃশ্য থাকায় তাকে ব-দ্বীপ [Delta] বলা হয় । পৃথিবীর বেশিরভাগ ব-দ্বীপই গ্রিক অক্ষর ডেল্টার মতো দেখতে হলেও, কোনো কনো ব-দ্বীপ বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে, যেমন, ভারতে কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরী-মিসিসিপি নদীর বদ্বীপ অনেকটা পাখির পায়ার মতো দেখতে ।
সাধারণত তিন ধরনের বদ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়, যেমন:-
১) ত্রিকোণ আকৃতির ব-দ্বীপ (যেমন:- গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ);
২) হ্রদ ব-দ্বীপ (হ্রদের ওপর গড়ে ওঠা বদ্বীপ:- কাস্পিয়ান সাগরে এই ধরনের বদ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়);
১) ত্রিকোণ আকৃতির ব-দ্বীপ (যেমন:- গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ);
২) হ্রদ ব-দ্বীপ (হ্রদের ওপর গড়ে ওঠা বদ্বীপ:- কাস্পিয়ান সাগরে এই ধরনের বদ্বীপ দেখতে পাওয়া যায়);
৩) সমুদ্র ব-দ্বীপ (সমুদ্রের ওপর যে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়, যেমন, সুন্দরবন বদ্বীপ )।
ব-দ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ:- নদীতে ব-দ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশগুলি হল-
১) মোহনার কাছে নদীর স্রোতের বেগ কম হওয়া দরকার ।
২) নদী তার মোহনার যে অংশে সাগর, উপসাগর, হ্রদে এসে মেশে সেখানকার গভীরতা হওয়া দরকার ।
৩) নদীর জলে অবক্ষেপনযোগ্য বা সঞ্চয়যোগ্য পলির পরিমাণ বেশি হতে হবে ।
৪) নদীবাহিত পলি দ্রুত অধঃক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য নদীর মোহনামুখে সমুদ্র জলের লবণত্ব বেশি হওয়ার প্রয়োজন ।
৫) নদী মোহনায় সঞ্চয়ের হার সমুদ্রস্রোতের অপসারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ার জন্য নদীর মোহনামুখে জোয়ার-ভাটার আধিক্য কম হওয়া প্রয়োজন ।
৫) নদী মোহনায় প্রচুর পলি সরবরাহের জন্য নদী অববাহিকার আয়তন বেশি হওয়া দরকার । এছাড়া উন্মুক্ত সমুদ্রের তুলনায় স্থলবেষ্টিত সমুদ্রে নদী পতিত হলে ব-দ্বীপ গঠনের পক্ষে সহায়ক হয় ।
ব-দ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ:- নদীতে ব-দ্বীপ সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশগুলি হল-
১) মোহনার কাছে নদীর স্রোতের বেগ কম হওয়া দরকার ।
২) নদী তার মোহনার যে অংশে সাগর, উপসাগর, হ্রদে এসে মেশে সেখানকার গভীরতা হওয়া দরকার ।
৩) নদীর জলে অবক্ষেপনযোগ্য বা সঞ্চয়যোগ্য পলির পরিমাণ বেশি হতে হবে ।
৪) নদীবাহিত পলি দ্রুত অধঃক্ষিপ্ত হওয়ার জন্য নদীর মোহনামুখে সমুদ্র জলের লবণত্ব বেশি হওয়ার প্রয়োজন ।
৫) নদী মোহনায় সঞ্চয়ের হার সমুদ্রস্রোতের অপসারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ার জন্য নদীর মোহনামুখে জোয়ার-ভাটার আধিক্য কম হওয়া প্রয়োজন ।
৫) নদী মোহনায় প্রচুর পলি সরবরাহের জন্য নদী অববাহিকার আয়তন বেশি হওয়া দরকার । এছাড়া উন্মুক্ত সমুদ্রের তুলনায় স্থলবেষ্টিত সমুদ্রে নদী পতিত হলে ব-দ্বীপ গঠনের পক্ষে সহায়ক হয় ।
নিম্নগতিতে নদীবক্ষে বালি, পলি, কর্দম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে স্থানবিশেষে নদীবক্ষ ভরাট হয়ে জলতলের উপরে জেগে উঠলে সেই সাময়িক স্থলভাগকে নদীচড়া বা SAND BANK বলে ।
উদাঃ ভাগীরথী – হুগলী নদীর ব-দ্বীপ প্রবাহে নদীবক্ষে অনেক নদীচড়া দেখা যায় ।
নদী চড়া (Sand Bank)
উৎপত্তিঃ নিম্নগতিতে নদীর স্রোতের বেগ কমে আসায় সঞ্চয় কার্যই প্রাধান্য পায় । এই অবস্থায় নদী অসম্ভব আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে চলে । এই নদীবাঁকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলধারা দুই তীরে বাঁধাপ্রাপ্ত হয় এবং নদী তার সাথে বয়ে আনা বালি, পলি, কর্দম প্রভৃতি আর বইতে না পেরে নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে । এভাবে ক্রমশ নদীবক্ষ ভরাট হতে থাকে ও স্থানবিশেষে তা পরিনতিপ্রাপ্ত হয়ে অনেকসময় নদীর জলতলের উপরে নদীচড়ারূপে জেগে ওঠে ।
উদাঃ ভাগীরথী – হুগলী নদীর ব-দ্বীপ প্রবাহে নদীবক্ষে অনেক নদীচড়া দেখা যায় ।
নদী চড়া (Sand Bank)
উৎপত্তিঃ নিম্নগতিতে নদীর স্রোতের বেগ কমে আসায় সঞ্চয় কার্যই প্রাধান্য পায় । এই অবস্থায় নদী অসম্ভব আঁকাবাঁকা পথে এগিয়ে চলে । এই নদীবাঁকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জলধারা দুই তীরে বাঁধাপ্রাপ্ত হয় এবং নদী তার সাথে বয়ে আনা বালি, পলি, কর্দম প্রভৃতি আর বইতে না পেরে নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে । এভাবে ক্রমশ নদীবক্ষ ভরাট হতে থাকে ও স্থানবিশেষে তা পরিনতিপ্রাপ্ত হয়ে অনেকসময় নদীর জলতলের উপরে নদীচড়ারূপে জেগে ওঠে ।
বৈশিষ্ট্যঃ নদীচড়া – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) এগুলি মূলত নিম্নগতিতে সৃষ্টি হলেও অনেকসময় মধ্যগতিতেও দেখা যায় ।
খ) নদীর স্রোত, বাহিত বোঝার পরিমান ও প্রকৃতি প্রভৃতির উপর নদীচড়ার অবস্থান ও আকৃতি বিশেষভাবে নির্ভরশীল ।
গ) নদীগর্ভে সর্বত্রই নদীচড়া সৃষ্টি হয় না, বিশেষত যেখানে নদীস্রোত কম সেখানেই নদীচড়া গড়ে ওঠে ।
ঘ) পাশাপাশি এবং পরপর অনেকগুলি নদীচড়া অবস্থানের ফলে নদী বিনুনীর মত আকৃতিতে বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হয় । একে বিনুনী নদী (Braided River) বলে ।
ঙ) সময়ের সাথে সাথে নদীচড়ার আকৃতি ও অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে ।
সংজ্ঞাঃ নদীর মধ্যপ্রবাহে ও বিশেষত নিম্নপ্রবাহে প্রায়শই পার্শ্ববর্তী দুকূলসংলগ্ন অঞ্চল বন্যার ফলে প্লাবিত হয় । কিছুদিন পর এই প্লাবনের জল সরে গেলে নদীবাহিত পলি, বালি, কর্দম প্রভৃতি নদীর দুই তীরে সঞ্চিত হয়ে ধীরে ধীরে বাঁধের মত উঁচু হয়ে যায় । প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয় বলে এই ধরনের বাঁধকে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি(Natural
Levee) বলে ।
উদাঃ গঙ্গা নদীর নিম্নপ্রবাহে তথা ভাগীরথী-হুগলী নদীর প্রবাহপথে, নীল নদের প্রবাহপথে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি দেখা যায় ।
Read More: Job Web Site BanglaCareer
ভাবিক বাঁধ বা লেভি (Natural Levee)
উৎপত্তিঃ নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে এলে ভূমির ঢাল হ্রাস পায় এবং নদীবাহিত সূক্ষ্ম কর্দম, পলি, বালি প্রভৃতি নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে । ফলে নদীবক্ষ ভরাট হয়ে নদীর গভীরতা ক্রমশ কমে যায় । এমতাবস্থায়, বর্ষাকালে নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে গেলে এই অগভীর উপত্যকা ছাপিয়ে নদীর দুই কূলের নীচু জমি প্লাবিত হয় । কিছুদিন পর এই প্লাবনের জল সরে গেলে নদীবাহিত পলি, বালি, কর্দম প্রভৃতি নদীর দুই তীরে সঞ্চিত হয় । এইভাবে ক্রমশ বছরের পর বছর নদীর তীরে এইরূপ সঞ্চয়ের ফলে ধীরে ধীরে বাঁধের মত উঁচু হয়ে যায় ও প্রাকৃতিকভাবে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি সৃষ্টি হয় ।
বৈশিষ্ট্যঃ স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) এগুলি প্রধানত নদীর ব-দ্বীপ প্রবাহেই উল্লেখযোগ্যভাবে গড়ে ওঠে ।
খ) এর উচ্চতা প্লাবনভূমির তল থেকে মোটামুটি ৩-৪ মিটার উঁচু হয় ।
গ) স্বাভাবিক বাঁধ বন্যা প্রতিরোধ করে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এরা সাময়িকভাবে বন্যা প্রতিরোধ করলেও তা কখনই চিরস্থায়ী ব্যবস্থারূপে গণ্য হয় না । কারণ নদীগর্ভে পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে অচিরেই আবার ভরাট হয়ে যায় এবং নদীতে পুনরায় বন্যা সৃষ্টি হয় ।
ঘ) এরা নদীপথের সমান্তরালে গড়ে ওঠে । এবিষয়ে মনে রাখা প্রয়োজন, মন্থর গতিসম্পন্ন কোনো নদীর স্বাভাবিক বাঁধ বন্যা প্রতিরোধের জন্য কৃত্রিম উপায়ে আরও উঁচু করা হয়, তা হলে ঐ নদীর দিকে ধাবমান কোনো উপনদী এই বাঁধের কারণে সহজে মূল নদীর সাথে মিলিত হতে পারে না । মূলনদীর সমান্তরালে তা বহুদূর অগ্রসর হয়ে অবশেষে উপযূক্ত স্থানে মূলনদীর সাথে মিলিত হয় । এইপ্রকার বিশেষ নদী-সঙ্গমকে বিলম্বিত সঙ্গম (Deferred Junction) বলে । উদাঃ মিসিসিপির উপনদী ইয়াজো (Yazoo) এইভাবে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার পথ মিসিসিপির সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে মিলিত হয়েছে । ইয়াজো নদীর নামানুসারে এইরূপ সঙ্গমকে ইয়াজো জাতীয় সঙ্গমও (Yazootype Junction) বলা হয় । বিহারে পাটনা ও মুঙ্গেরের মধ্যে এরকম বহু ইয়াজো জাতীয় নদীসঙ্গম গঙ্গার উভয় তীরে মিলিত হতে দেখা যায় ।
উদাঃ গঙ্গা নদীর নিম্নপ্রবাহে তথা ভাগীরথী-হুগলী নদীর প্রবাহপথে, নীল নদের প্রবাহপথে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি দেখা যায় ।
Read More: Job Web Site BanglaCareer
ভাবিক বাঁধ বা লেভি (Natural Levee)
উৎপত্তিঃ নদী তার নিম্নগতিতে সমুদ্রের কাছাকাছি চলে এলে ভূমির ঢাল হ্রাস পায় এবং নদীবাহিত সূক্ষ্ম কর্দম, পলি, বালি প্রভৃতি নদীগর্ভে সঞ্চিত হতে থাকে । ফলে নদীবক্ষ ভরাট হয়ে নদীর গভীরতা ক্রমশ কমে যায় । এমতাবস্থায়, বর্ষাকালে নদীতে হঠাৎ জল বেড়ে গেলে এই অগভীর উপত্যকা ছাপিয়ে নদীর দুই কূলের নীচু জমি প্লাবিত হয় । কিছুদিন পর এই প্লাবনের জল সরে গেলে নদীবাহিত পলি, বালি, কর্দম প্রভৃতি নদীর দুই তীরে সঞ্চিত হয় । এইভাবে ক্রমশ বছরের পর বছর নদীর তীরে এইরূপ সঞ্চয়ের ফলে ধীরে ধীরে বাঁধের মত উঁচু হয়ে যায় ও প্রাকৃতিকভাবে স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি সৃষ্টি হয় ।
বৈশিষ্ট্যঃ স্বাভাবিক বাঁধ বা লেভি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
ক) এগুলি প্রধানত নদীর ব-দ্বীপ প্রবাহেই উল্লেখযোগ্যভাবে গড়ে ওঠে ।
খ) এর উচ্চতা প্লাবনভূমির তল থেকে মোটামুটি ৩-৪ মিটার উঁচু হয় ।
গ) স্বাভাবিক বাঁধ বন্যা প্রতিরোধ করে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এরা সাময়িকভাবে বন্যা প্রতিরোধ করলেও তা কখনই চিরস্থায়ী ব্যবস্থারূপে গণ্য হয় না । কারণ নদীগর্ভে পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে অচিরেই আবার ভরাট হয়ে যায় এবং নদীতে পুনরায় বন্যা সৃষ্টি হয় ।
ঘ) এরা নদীপথের সমান্তরালে গড়ে ওঠে । এবিষয়ে মনে রাখা প্রয়োজন, মন্থর গতিসম্পন্ন কোনো নদীর স্বাভাবিক বাঁধ বন্যা প্রতিরোধের জন্য কৃত্রিম উপায়ে আরও উঁচু করা হয়, তা হলে ঐ নদীর দিকে ধাবমান কোনো উপনদী এই বাঁধের কারণে সহজে মূল নদীর সাথে মিলিত হতে পারে না । মূলনদীর সমান্তরালে তা বহুদূর অগ্রসর হয়ে অবশেষে উপযূক্ত স্থানে মূলনদীর সাথে মিলিত হয় । এইপ্রকার বিশেষ নদী-সঙ্গমকে বিলম্বিত সঙ্গম (Deferred Junction) বলে । উদাঃ মিসিসিপির উপনদী ইয়াজো (Yazoo) এইভাবে প্রায় ২৮০ কিলোমিটার পথ মিসিসিপির সমান্তরালে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে মিলিত হয়েছে । ইয়াজো নদীর নামানুসারে এইরূপ সঙ্গমকে ইয়াজো জাতীয় সঙ্গমও (Yazootype Junction) বলা হয় । বিহারে পাটনা ও মুঙ্গেরের মধ্যে এরকম বহু ইয়াজো জাতীয় নদীসঙ্গম গঙ্গার উভয় তীরে মিলিত হতে দেখা যায় ।
Read More: Job Web Site BanglaCareer
সংজ্ঞাঃ নদী ও সমুদ্রের মিলনস্থলে নদীর মোহনা যথেষ্ট গভীর, উন্মুক্ত ও প্রশস্ত আকৃতিবিশিষ্ট হলে তাকে খাঁড়ি(Estuary /
Firth) বলে ।
উদাঃ ওব নদীর মোহনাসংশ্লিষ্ট খাঁড়িটি পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি । এছাড়াও আমাজন, টেমস, ফোর্থ প্রভৃতি নদীর খাঁড়িও পৃথিবীর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাঁড়ির উদাহরণ ।
উৎপত্তিঃ মোহনার নিকট নদীর স্রোত অথবা জোয়ারের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত বেশী হলে নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা প্রভৃতি মোহনা অঞ্চলে সঞ্চিত হতে পারে না । ফলে জোয়ারের জল প্রবলবেগে নদীর মধ্যে প্রবেশ করে মোহনাসংশ্লিষ্ট নদীখাঁতকে ক্ষয় করে অধিক গভীর ও প্রশস্ত (চ্যাপ্টা বোতল বা ফানেল আকৃতির) করে তুলতে থাকে এবং ক্রমশ খাঁড়ির সৃষ্টি হয় ।
নিয়ন্ত্রকসমুহঃ একটি আদর্শ খাঁড়ি অঞ্চল সৃষ্টি হওয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি হল –
ক) নদীর জলপ্রবাহ ও জোয়ারের স্রোতের আপেক্ষিক শক্তির উৎস,
খ) নদী মোহনা – র গঠন ও আকৃতি,
গ) ড্রেজিং – এর মত কৃত্রিম কারণ প্রভৃতি ।
বৈশিষ্ট্যঃ খাঁড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ –
ক) এটি গভীর, উন্মুক্ত ও প্রশস্ত হয় ।
খ) একটি আদর্শ খাঁড়ি অঞ্চলে ব-দ্বীপ গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় ।
গ) খাঁড়ির মধ্য দিয়ে সমুদ্রের জোয়ারের জল নদীতে প্রবেশ করে এবং নদীর মধ্য দিয়ে স্থলভাগের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হয় । একে বান (Bore) বলে ।
ঘ) খাঁড়ি অঞ্চল পলিমুক্ত থাকার কারণে পরিস্কার ও গভীর থাকে, ফলে জাহাজ চলাচল সুবিধাজনক হয় ।
ঙ) এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতান্ত্রিক অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হয় ।
উদাঃ ওব নদীর মোহনাসংশ্লিষ্ট খাঁড়িটি পৃথিবীর দীর্ঘতম খাঁড়ি । এছাড়াও আমাজন, টেমস, ফোর্থ প্রভৃতি নদীর খাঁড়িও পৃথিবীর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাঁড়ির উদাহরণ ।
উৎপত্তিঃ মোহনার নিকট নদীর স্রোত অথবা জোয়ারের প্রকোপ অপেক্ষাকৃত বেশী হলে নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা প্রভৃতি মোহনা অঞ্চলে সঞ্চিত হতে পারে না । ফলে জোয়ারের জল প্রবলবেগে নদীর মধ্যে প্রবেশ করে মোহনাসংশ্লিষ্ট নদীখাঁতকে ক্ষয় করে অধিক গভীর ও প্রশস্ত (চ্যাপ্টা বোতল বা ফানেল আকৃতির) করে তুলতে থাকে এবং ক্রমশ খাঁড়ির সৃষ্টি হয় ।
নিয়ন্ত্রকসমুহঃ একটি আদর্শ খাঁড়ি অঞ্চল সৃষ্টি হওয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি হল –
ক) নদীর জলপ্রবাহ ও জোয়ারের স্রোতের আপেক্ষিক শক্তির উৎস,
খ) নদী মোহনা – র গঠন ও আকৃতি,
গ) ড্রেজিং – এর মত কৃত্রিম কারণ প্রভৃতি ।
বৈশিষ্ট্যঃ খাঁড়ি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ –
ক) এটি গভীর, উন্মুক্ত ও প্রশস্ত হয় ।
খ) একটি আদর্শ খাঁড়ি অঞ্চলে ব-দ্বীপ গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় ।
গ) খাঁড়ির মধ্য দিয়ে সমুদ্রের জোয়ারের জল নদীতে প্রবেশ করে এবং নদীর মধ্য দিয়ে স্থলভাগের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হয় । একে বান (Bore) বলে ।
ঘ) খাঁড়ি অঞ্চল পলিমুক্ত থাকার কারণে পরিস্কার ও গভীর থাকে, ফলে জাহাজ চলাচল সুবিধাজনক হয় ।
ঙ) এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতান্ত্রিক অঞ্চল হিসাবে বিবেচিত হয় ।
0 Comments